SHOWCASE DETAILS

Solution Information:
Title : ত্রাণ সমবন্টনের পরিকল্পনা
Description : করোনা (কোভিড– ১৯)এর মহামারীতে আমরা লক্ষ্য করছি যে, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন বা ব্যক্তি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।এখানে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে যে, কে কিভাবে কি পরিমান ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন বা কারা কারা এই ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী কখন কী পরিমাণে পাচ্ছেন তার নির্দিষ্ট কোন ডাটাবেজ কালেকশন করা যাচ্ছে না। যার ফলে একই ব্যক্তি বা পরিবার একই সময়ের মধ্যে একাধিক বার ত্রান বা উপহার সামগ্রী পাচ্ছেন। আবার অনেকে কিছুই পাচ্ছেনই না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সকলে সহজভাবে ব্যবহার করার মতো একটি সুন্দর পরিকল্পিত প্ল্যাটফর্ম (ওয়েবসাইট) হলে অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব হবে। মূলত এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সকল দাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ত্রান বা উপহার সামগ্রী যাদেরকে প্রদান করবেন তাদের সঠিক ও প্রয়োজনীয় ডাটা ইনপুট করে সকলের সহযোগিতায় সুপরিকল্পিত সমন্বয়ে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে যে সকল ডাটা ওয়েবসাইটে ইনপুট করতে হবে : ১।পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও প্রত্যেকের নাম ২।ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার(যে ক'জনের আছে) ৩। নিজ জেলা এবং বর্তমান অবস্থান ৪। কত তারিখে কি পরিমান সহযোগিতা করেছেন ৫। যোগাযোগের মাধ্যম (মোবাইল নাম্বার) মনে করুন একটি পাঁচ সদস্যের পরিবারের এক সপ্তাহ বা এক মাসের যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে, সেই নাম্বার গুলো ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট ঘরে ইনপুট করতে হবে। পাশাপাশি তাদের নাম, মোবাইল নাম্বার, কোন এলাকায় বর্তমানে আছেন, নিজ জেলা, অনুদান প্রদানের তারিখ ও পরিমাণ এরকম কিছু তথ্য উপাত্ত জমা দিতে হবে। পুনরায় একই ব্যক্তি বা পরিবার যদি আবারো ত্রাণ সহযোগিতা পাওয়ার সময় কালীন এর ভিতরে ত্রাণ নিতে চাইলে সে ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ত্রাণ দিতে যাবেন উনি সহজেই ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বার নির্দিষ্ট ফর্মে এ ইনপুট করলেই ওয়েবসাইট থেকে সহজে এই নাম্বারের পূর্বে কত তারিখে কি পরিমান ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী কার কাছ থেকে পেয়েছেন তা স্পষ্ট ভাবে বিস্তারিত জানা যাবে। এই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সকল দাতাগোষ্ঠী বা ব্যক্তি অনুদান দেওয়ার পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হলে কেউ একই সময় দ্বিতীয় বার পাওয়ার সুযোগ থাকবে না এবং সুষম বন্টন হবে। গ্রাম পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে a2i ও নির্বাচন কমিশনের ভোটার লিস্টের সহযোগিতা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ভলেন্টিয়ার বা প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির এবং বিতরনের কাজটি করা যেতে পারে। যারা যারা মোবাইল ব্যাংকিং এর আওতায় আছে অথবা নিয়ে আসা সম্ভব হবে তাদেরকে সরাসরি কোন ত্রাণ না দিয়ে সমপরিমাণ টাকা দেওয়াটাই ভালো হবে। মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত যে কেউ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহযোগিতা চাইতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে উনার এবং উনার পরিবারের উপরোক্ত ডাটাগুলো ইনপুট করতে হবে। এই ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেল এন.আই.ডি নাম্বার এর মাধ্যমে জানতে পারবেন যে, ওই ব্যক্তির কোনো ব্যাংকে বড় অংকের টাকা সঞ্চয় বা এফডিআর আছে কিনা। একটা নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কোন কোন এন.আই.ডি নাম্বার ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত হয়েছে তা সহজে নির্ধারণ করা যাবে । এই প্রজেক্টটি শুরু করার জন্য নতুন কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এই সময় তৈরি করার প্রয়োজন নাই। সরকারের যে কোনো বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেই এই সার্ভিসটি সংযোজন করলেই ভালো দেখাবে।এই প্রোজেক্টের সকল ডাটা কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে সংরক্ষণ না রাখাই ভালো। গুগল ম্যাপের সহযোগিতা নিয়ে একজন দাতা উনার আশেপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে এরকম সহযোগিতা কাদের প্রয়োজন উনি জেনে নিতে পারবেন। ইচ্ছা করলে উনি সরাসরি কোন মাধ্যম ছাড়াই ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে ত্রাণ বা উপহার সামগ্রী পৌঁছাতে পারবেন। এখানে শুধুমাত্র আমি প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য একি বিষয়ে নিয়ে যারা কাজ করছেন অথবা করার যে কোনো পরিকল্পনা দিতে পারবেন তাদের সকলের সাথে সমন্বয় করে একাধিক মিটিং এর মাধ্যমে সকলের সর্বোচ্চ ভালো আইডিয়া গুলোকে সিলেকশন করে ওয়েবসাইট এর ডিজাইন ও লেআউট প্ল্যানিং এ নিয়ে এসে বাস্তবায়ন করতে হবে। যা লেখার ভাষায় সম্পূর্ণ বোঝানো যাচ্ছে না।যেকোনো উদ্যোগের বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিত পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা করে বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই আবার একটু মনে করতে চাই অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনের ভাষায় খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ কম হয়, দুর্ভিক্ষ হয় গণতন্ত্র অথবা সুষম বণ্টনের অভাবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
Category : Web